আনন্দ ভ্রমণ,জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয়,বাংলা বিভাগ,১০ম আবর্তন
ভিডিওটি দেখলে এই লেখাটা বোঝা যাবে।ভিডিও লিংক-তুমি বেশ বদলে গেছো,পুরোনো সৈকতে আর পানসে ভেড়াও না
জীবনের অন্যতম
সোনালি স্মৃতি!
জগ্ননাথ
বিশ্ববিদ্যালয়,বাংলা
বিভাগ ১০ম আবর্তনের শিক্ষা সফর/আনন্দ ভ্রমণ.২৪/২/২০১৯-১/৩/২০১৯।
দোদুল্যমান অবস্থায়
সেদিন রাতের বীচ-বারবিকিউতে অংশগ্রহণ করেছিলাম আমরা।দোলাচালটা ছিল ৩ নং বিপদ
সঙ্কেতের মধ্য-দিয়ে পরদিন সেন্টমার্টিন যাওয়া,না-যাওয়া নিয়ে।একদল রাজি তো আরেকদল নারাজ।
যাহোক,কোনোরকমে খাবার শেষ করেছি সবাই।সবার মুখ ভার।বন্ধুদের মধ্যে
কিছুটা দ্বান্দ্বিক অবস্থা। শ্রদ্ধেয় শিক্ষকমন্ডলী পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার এবং
আমাদের হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করছেন।সবাইকে "পারফর্ম" করতে
বলছেন।শিক্ষার্থী কারোরই উদ্যোগ নেই।এতে শিক্ষকমন্ডলীও অনেকটা অভিমান করেছেন।তখন
তো আর আমরা চুপ থাকতে পারি না! একে একে যার ভান্ডারে যা আছে তাই নিয়ে হাজির।কৌতুক,অভিনয়,প্যারোডি আর গান তো অবশ্যই!আমাকে বিভাগের সবাই আবৃত্তি ও
কবিতা নিয়েই দেখতে অভ্যস্থ।সফরকালীন সারাক্ষণই আবৃত্তি /কবিতা/গান করেছি।তবে ওই
মুহূর্তে সবাইকে একসাথে পেয়ে নতুন কিছু করতে ইচ্ছে হচ্ছিল।৫ বছরে প্রথম!
আমি গাইতে পারি না,গলায় সুর নেই আর এটা সবার জানাই আছে! তাই নির্দ্বিধায়
গাইলাম বে-সুরে! চোখের ওই পাশে যে সমুদ্র!
যাহোক,দীর্ঘদিন পর্যন্ত জানতাম না যে এইসব আবার রেকর্ডও করা
হয়েছে! তা আবার করেছেন আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগণ নিজেরা! পরে যখন শিক্ষক-স্বয়ং দিলেন
,তখন জানলাম।অবাক হবার তখনও বাকি ছিল!সেই অভিভূত হলাম যখন
ভিডিওতে শুনতে পেলাম আমার বে-সুরে সেদিন কন্ঠ মিলিয়েছিলেন আমার শিক্ষকও!
গান শুরুর আগে
যেভাবে বললাম,"তুই
বাজাস না,আমার প্রবলেম হবে" ! বাপ্রে বাপ!এতদিন পর আমি নিজেই
অবাক!(অবশ্য কারণ ছিল, ২০১৬ তে "নবীন বরণে" আবৃত্তি করার সময় ও আমার সাথে গিটার
বাজিয়েছিল!সে এক বিরাট ইতিহাস!নআমি অভিজ্ঞতাহীন ও মাইক্রোফোনভীতিসম্পন্ন! আর আমার
বন্ধু এম্নিতে ভালো গায়ক হলেও ফাঁকিবাজ!মূল অনুষ্ঠানের আগে একফোটা রিহার্সালও করেনি
আমার আবৃত্তির সাথে! তাই অনুষ্ঠানে ও ওর মতো একদিকে গিটার বাজিয়েছে,আমি আরেকদিকে আবৃত্তি করেছি,ভজঘট হয়েছিল এই আর কি!😖,তাই গানের সময় ওটা বলেছি ভয়ে।)

.jpg)

Comments
Post a Comment